বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম বলেছেন, কারও হয়রানির শিকার হওয়ার সুযোগ নেই। কাউকে পাঁচ পয়সাও দেবেন না।
আমাদের তথ্য সেল থাকবে এবং আমাকে সরাসরি জানাবেন। আমরা সজাগ আছি।
তিনি বলেন, থানায় সাধারণ ডায়েরি ও এফআইআর দেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ কোনো সমস্যা সৃষ্টি করলে আমাকে জানাবেন। তার বিরুদ্ধে শতভাগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মহান ২০২৪ এর আলোকে আমরা সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে যেতে চাই।
মঞ্জুর মোর্শেদ আলম বলেন, আমরা ১৮৬১ সালের আইন কর্তৃক পুলিশ। আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজারবাগ থেকে প্রথম অস্ত্র ধরি, বলা যায় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলার উষালগ্নে আমরা দাঁড়িয়েছিলাম। আমরা ২০২৪ এও ছিলাম।
তবে এ সময় যে বা যারা সমস্যা করেছে আইন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
আর আমরা মনে করি এ সংখ্যাটা কম। আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতায় আমরা আগামীর দিনগুলোতে ঐক্যবদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনার মধ্যে এগিয়ে যাবো।
আমরা সংখ্যালঘু-সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, আমরা দেশের গর্বিত নাগরিক এ আলোকে এগিয়ে যেতে চাই।
শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল নগরের কাশিপুরস্থ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব বলেন।
এ সময় রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে সঠিক বন্ধুত্বের মাধ্যমে সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুলিশ বিব্রত অবস্থাতে নেই আসলে। এটি একটি সিস্টেম, যেমন ধরেন ঝড়ের আগে প্রকৃতি নিশ্চুপ থাকে, মনে হয় কিছু হবে না, তবে পরে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যায়, আমাদের অবস্থাও একই বলা যায়।
আমাদের অ্যাকশন প্ল্যান আছে, কাজ চলছে, আশা করি হতাশ হবেন না। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকেন, আগে বা পরে নয়, আমাদের অর্পিত দায়িত্ব আমরা পালন করবো।
মঞ্জুর মোর্শেদ আলম বলেন, সব থানার সিসি ক্যামেরা বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হবে। আমি দেখবো সেখানে কী হচ্ছে, কেউ হয়রানির শিকার হবে না।
আর যেকোনো তথ্য চলে আসবেই, অনেক মাধ্যম আছে।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবস্থা সরকার করেছেন আর যারা আহত হয়েছেন তাদেরও সহায়তা করেছেন।
সৃষ্টিকর্তার রহমতে বরিশাল বিভাগে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, আন্দোলনে যা হয়েছে তা অন্য জায়গার থেকে তুলনামূলক অনেক কম। আর এর মধ্যে ভোলাতে একটু হয়েছিল।
তবে এখানকার অনেক ছাত্ররা ঢাকাতে পড়াশোনা করেন, তাদের মধ্যে ৩০ জনের মতো নিহত হওয়ার তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে রয়েছে।
মঞ্জুর মোর্শেদ আলম বলেন, আহতদের মধ্যে এখনও যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন, তাদের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
মতবিনিময় সভায় বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ফারুক উল হক, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, বরিশাল টেলিভিশন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হুমায়ন কবির, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সম্পাদক মুশফিক সৌরভসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।